শরীয়তপুরের সখিপুরে ছয় বছরের শিশু তায়েবাকে হত্যার পর গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোক ও ক্ষোভ। গত শুক্রবার প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির মরদেহ।
পুলিশ তদন্তে জানিয়েছে, পারিবারিক বিরোধের জেরে চাচি আয়েশা বেগমই মূল হত্যাকারী। এ ঘটনায় আয়েশা বেগমসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
তবে হত্যার পর থেকে আসামিপক্ষ মামলা তুলে নিতে ভিকটিম পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। অভিযোগ রয়েছে—আসামি আয়েশার স্বামী সাহান সরদার ও স্বজনরা নিহত তায়েবার বড় ভাই সাকিনকেও হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
শিশুটির মা ডলি আক্তার বলেন, “আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখন ছেলেকেও মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দিনরাত আতঙ্কে আছি।”
শিশুটির বাবা টিটু সরদার জানান, “আমরা বিচার চাইতে গিয়ে আরও বিপদে পড়েছি। তবুও মেয়ের হত্যার বিচার চাই।”
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রাও আসামিপক্ষের হুমকির শিকার হয়েছেন। তারা বলছেন, যদি এই হত্যার বিচার না হয়, তবে ভবিষ্যতে কেউ ন্যায়বিচারের জন্য মামলা করার সাহস পাবে না।
থানার ওসি জানিয়েছেন, বাদী পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
শিশু তায়েবার নৃশংস হত্যাকাণ্ড এখন পুরো সমাজের জন্য সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঠেকানো সম্ভব নয়।