নুরুল কবির, সাতকানিয়া চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ;
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার কারণে অন্তত ২৫০ একর আবাদি জমি অনাবাদি অবস্থায় পড়ে আছে। উপজেলার ঢেমশা, কেওঁচিয়া, নলুয়া, কালিয়াইশ, বাজালিয়া ও আশপাশের ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জমি গত এক যুগ ধরে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব এলাকায় এক দশক আগেও বোরো ও আমন ধানসহ নানা ধরনের শাকসবজি ও মৌসুমি ফসলের চাষ হতো। এখন সেই জমিগুলো পরিণত হয়েছে স্থায়ী জলাশয়ে। মাঠজুড়ে পানি, কিন্তু ফসলের দেখা নেই।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাতকানিয়া উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ১৩,১৭০ হেক্টর। এর মধ্যে অন্তত ২৫০ হেক্টর জমি বর্তমানে অনাবাদি পড়ে আছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহারের ফলে জমি নিচু হয়ে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে ধীরে ধীরে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ প্রশাসনের তদারকি না থাকায় ইটভাটার মালিকরা নির্বিচারে জমির মাটি কেটে নিচ্ছেন। ফলে উর্বর কৃষিজমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের মতে, সরকার পরিবর্তন যাই হোক না কেন কৃষিজমির মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, সাতকানিয়ায় অন্তত ২৫০ একর জমি এক যুগ ধরে অনাবাদি রয়েছে। এর মধ্যে ঢেমশা ও নলুয়া ইউনিয়নে জমির পরিমাণ বেশি। ইটভাটার জন্য মাটি খননের কারণে এসব জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই জমিগুলোতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুনরায় চাষাবাদ শুরু করা সম্ভব। বিশেষ করে ভাসমান চাষাবাদ পদ্ধতির মাধ্যমে এসব জলাবদ্ধ জমিতে ফসল উৎপাদন করা যেতে পারে। তবে এজন্য জমির মালিকদের উদ্যোগ নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনাবাদি জমিগুলো চাষের আওতায় আনতে পারলে একদিকে যেমন দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে, অন্যদিকে স্থানীয় কৃষকদের নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..