×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-২৬
  • ৫৭ বার পঠিত

সুজন চক্রবর্তী, ভারত প্রতিনিধিঃ

লাগাতার ধষণ করেছেন পুলিশ আধিকারিক। এই অভিযোগ তুলে ভারতের মহারাষ্ট্রে আত্মঘাতী হয়েছেন এক মহিলা চিকিৎসক। মৃত্যুর আগে নিজের হাতেই তালুতেই সুইসাইড নোট লেখেন ওই তরুণী। সেই ঘটনায় এবার গ্রেফতার হলেন মূল অভিযুক্ত সাব- ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। শনিবার (২৫ অক্টোবর ) রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শনিবার (২৫ অক্টোবর ) সকালেই ফল্টন পুলিশ প্রশান্ত বাংকার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। পেশায় তিনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। পূলিশ সূত্রে জানা যায়, সুইসাইড নোটে তার নামও ছিল। অপরদিকে, সাতারার পুলিশ সুপার তুষার দোশি জানিয়েছেন,  এদিন সন্ধ্যায় ফল্টন গ্রামীণ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন গোপাল। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর ) রাতে আত্মঘাতী হন ওই তরুণী। মহারাষ্ট্রের ফল্টন উপজেলা হাসপাতালে কমরত ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি নিজের বা হাতে লেখেন,,, " আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশ ইনস্পেক্টর গোপাল বাদনে। আমাকে ৪ বার ধষণ করেছেন তিনি। ৫ মাস ধরে আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে তিনি নিযাতন করেছেন।" এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোপালকে সাসপেন্ড করা হয়। চিকিৎসকের মৃত্যুর পরেই জানা যায়, স্থানীয় ডিএসপির কাছে ফল্টনের ৩ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ও অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন তরুণী। প্রবল মানসিক চাপ দিয়েছেন বাদনে সহ ৩ জন পুলিশ আধিকারিক, এই ব্যাপারে চিঠি লেখেন চিকিৎসক। সেই চিঠি দেওয়ার মাস চারেকের মধ্যেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনায় এনডিএ সরকারকে তুলোধোনা করেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। যদিও শনিবার (২৫ অক্টোবর ) মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat