×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১১-০৪
  • ২৮ বার পঠিত
শাহজাহান আহমেদ আসিফ, নরসিংদী :


নরসিংদী জেলার শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদানের পর থেকেই আফজাল হোসেন তাঁর কঠোর ও মানবিক উদ্যোগে স্থানীয় জনমনে ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছেন। কিশোর গ্যাং, মাদক, ডাকাতি এবং ছিনতাইয়ের মতো দীর্ঘদিনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তিনি 'জিরো টলারেন্স' নীতি গ্রহণ করায় উপজেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে।
​২০২৪ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর শিবপুর থানায় যোগদানের পর থেকেই তিনি উপজেলার অপরাধ মানচিত্রে পরিবর্তন এনেছেন। তাঁর নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অপরাধমূলক ঘটনার দ্রুত রহস্য উন্মোচন এবং আসামিদের গ্রেপ্তার পুলিশের কার্যকারিতার এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে:
​ডাকাতি দমন: সাধারচর রোডে ডাকাতির ঘটনার মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকাতি হওয়া ট্রাকসহ ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
​বৈলাব ডাবল মার্ডারের ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
​শিশু ধর্ষণ: কারারচরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণকারীকে আটক করা হয়।
​শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্র উদ্ধার: তাঁর নেতৃত্বেই শিবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের মূল হোতা মোহাম্মদ আলী হোসেন ওরফে আলীকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
​জেল পলাতক ডাকাত গ্রেপ্তার: জেল পলাতক কুখ্যাত ডাকাত সর্দার আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়াকেও নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, যিনি একটি ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন।
​মানবিক পুলিশিংয়ে নতুন ধারা ​শুধুমাত্র কঠোর হাতে অপরাধ দমনই নয়, ওসি আফজাল হোসেন তাঁর মানবিক ব্যবহারের মাধ্যমেও প্রশংসিত হচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, একসময় থানার আশেপাশে দালাল ও মাসোহারা আদায়ের যে রমরমা ব্যবসা চলত, তাঁর আগমনে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ এখন সরাসরি ওসির কাছে গিয়ে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারছেন এবং দ্রুত ন্যায়বিচার পাচ্ছেন।
​বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারাও তার প্রশংসা করেছেন। নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার এবং উপজেলা জামায়াতের আমির মোস্তাফিজুর রহমান কাউসার উভয়েই মাদক ও কিশোর গ্যাং দমনে ওসির ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন। স্থানীয় নাগরিক শাহজালাল পলাশ তাঁকে 'পুলিশ সুলভ আচরণের পরিবর্তে একজন মানবিক মানুষ সুলভ আচরণকারী' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, যিনি ধৈর্য সহকারে সাধারণ মানুষের কথা শোনেন।
​তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ছিল জনসমক্ষে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলা। তিনি কিশোর গ্যাং এবং ছিনতাইকারীদের এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন যে, তারা সমাজকে কুরে কুরে খাচ্ছে।
​ওসি আফজাল হোসেন দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেছেন, "অপরাধ করিলে সাজা পেতে হবে সে যে কেউ হোক, কোনো প্রকার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না। অপরাধ দমন করিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।"
​শিবপুরের সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে, এই দক্ষ ও কর্তব্যপরায়ণ অফিসারের নেতৃত্বে শিবপুর থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat