×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১১-০৬
  • ২৫ বার পঠিত

মো. রিয়াজ, জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর : 


শেরপুরের নকলা উপজেলায় সরকারি কৃষি প্রণোদনা দিতে রাজি না হওয়ায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল আড়াইটার দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এ ঘটনায় ওই রাতেই নকলা থানায় নিয়মিত মামলা (নং–৫) দায়ের করা হয়। মামলায় উপজেলা ছাত্রদল সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) ও তার সহযোগী ফজলুর রহমান (৩২)-কে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এদিকে ঘটনার পরপরই অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিন বলেন, “বিকেল আড়াইটার দিকে রাহাত ও ফজলু আমার অফিসে এসে জানতে চায়—আমি এখনো কেন বদলি হচ্ছি না, কারা কৃষি প্রণোদনা পেয়েছে এবং নেতাদের ভাগ কত। আমি জানাই, সরকারি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকদের জন্য, রাজনৈতিকভাবে কারও ভাগ দেওয়ার সুযোগ নেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাকে মারধর করে।”

নকলা উপজেলা ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, “রাহাত উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব। কৃষি কর্মকর্তা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানান। আমি রাহাতের জেঠাত ভাই যুবদল নেতা লুটাসকে জানালে, তিনি রাহাতকে ধমক দেন। তারপরও সে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।”

শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাইম হাসান উজ্জ্বল বলেন, “প্রথমে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতাম না। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিস্তারিত জানতে পারি। একজন কর্মরত সরকারি কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি নিয়ে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আইন অনুযায়ীও তারা জবাবদিহি করবে।”

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম বলেন, “কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat