মো: হযরত আলী ( রানা), স্টার্ফ রিপোর্টার:
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত),
মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বিপিএম সেবা'।
গাজীপুর বাসীর জন্য সেবক হয়ে এসেছে, সদা হাস্যোজ্জ্বল, সদালাপী বিনয়ী, পরিশ্রমী ও অন্তপ্রান নির্বিক একজন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান। তিনি ২০ তম ব্যাচের একজন অফিসার হয়েও দীর্ঘ ১৮ বৎসর একই পদে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি গাজীপুর মহানগর পুলিশের নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর গাজীপুরবাসী অনেকটা আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাঝে ইতোমধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে, তীব্র যানজট সমস্যা নাকাল গাজীপুরবাসীকে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশেষ করে মহাসড়কে যানজটমুক্ত রাখতে রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ মহানগর গাজীপুর। পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসানের সাথে গাজীপুর মহানগরের নানা বিষয়ে কথা বলতে গেলে বলেন গাজীপুর মহানগরীর প্রশাসনিক জনবল তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। তার জন্য উধ্বর্তন কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। উদ্বতন মহল যদি প্রয়োজন মাফিক প্রশাসনিক জনবল নিয়োগ দেন আমি আশাকরি, আনুপাতিক হারে জনবল বৃদ্ধি হলে গাজীপুর মহানগরীর অপরাধের মাত্রা কমিয়ে জিরো টলারেন্স করা সম্ভব। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আরো বলেন দায়িত্বে যতক্ষণ আছি সর্বোপরি চেষ্টা করবো, অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের। বিশেষ করে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে এই মহানগরীর মানুষ কে মুক্ত করতে চাই।
শান্তি শৃঙ্খলা ও যানজট মুক্ত মেট্রো পলিটন গড়ার শপথ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি এক জন আইনের সেবক হিসেবে সবার মন রক্ষা করা যায়না, আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করে আসছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান গাজীপুর মহানগরের দায়িত্ব নেওয়া পর থেকে চিত্র পাল্টে গেছে। আগের মত ঢাকা ময়মনসিংহ ও ঢাকা টাংগাইল মহা সড়ক বিআরটি রোডে কোথাও কোন গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যায়না।তিনি রাস্তার যানজট মুক্ত রাখতে স্কুল কলেজ অফিসগামী ও জনগণের যাতায়াত সুবিধার্থে নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী অক্লান্ত পরিশ্রম করে দক্ষতার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন। আরোও বলেন আমি ভিআইপি সুবিধা চাইনা সাধারন জনগনের মতো সব সময় জনগনের নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করে যেতে চাই,গাজীপুর বাসী যেনো একটু শান্তিতে বসবাস করতে পারে তার জন্য আমার যা করা প্রয়োজন আমি তাই করবো। পুলিশ রোদ বৃষ্টি, ঝড় তুফান, অপেক্ষা করে, রাস্তার মোড়ে, আদালতের সামনে, রাজপথে রাতে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় টহল দিয়ে যাচ্ছে।প্রতিটি মানুষ যেনো অফিস আদালত, স্কুল কলেজে সময় মতো পৌছাতে পারে সেই লক্ষে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সব সময় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবুও সমাজে পুলিশ নামের পাশে লেখা থাকে অভিযোগ শব্দটি। অভিযোগের বার তারা নিতে নিতে শরীর মন আজ ক্লান্ত। তারাও মানুষ, অন্যদিকে পেশার কঠোর নিয়মে বাধা, কখনোও রাজনৈতিক চাপ কখনোও জনতার রাগ। আবার কখনোও নিজের জীবনের ঝুঁকি
সব মিলিয়ে এক অদৃশ্য যন্ত্রণার বার ভয়ে চলছে পুলিশ। অথচ তাদের কন্ঠ কেউ শোনে না,পুলিশ সদস্য ঈদের মধ্যে পরিবার সন্তানদের রেখে ঈদ কাটাতে হয়, শুধু শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায়।
ট্রাফিক সার্জেন্ট কে ঘন্টার পর ঘন্টা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হয়। রোদের মাঝে দাড়িয়ে এক ফোটা পানি খেতেও ভুলে যান,ট্রাফিক পুলিশ ও মানুষ। পুলিশের ও কষ্ট আছে, ক্লান্তি আছে, স্বপ্ন আছে। সমাজ যদি শুধু ত্রুটি খোঁজে উৎসর্গকে না দেখে,তবে মনোবল হারায় পুরো পুলিশ বাহিনী। এখন সময় এসেছে ভারসাম্যের চোখে না দেখে, ভুল থাকলে সমালোচনা হোক। কিন্তু পাশাপাশি স্বীকৃতিও আসুক তাদের ভাগ্যের জন্য। অভিযোগের ভার কমাতে হলে দরকার সহমর্মিতা। বোঝাপড়ায় সংস্কারের মনোভাব।
যে সমাজ নিজের পুলিশ বাহিনীকে সম্মান করতে শেখে না,সে সমাজ কখনো সত্যিকারের নিরাপদ হতে পারে না। পুলিশ হলো জনগনের বন্দু, আমাদের মনের ভাব চিন্তা ভাবনা পাল্টিয়ে সবাই মিলে দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে, তবেই হবে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আসবে আমাদের দেশে।
এ জাতীয় আরো খবর..