×
সদ্য প্রাপ্ত:
মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পরিশোধের দাবি সিলেটে দুই ট্রাক সাদাপাথর জব্দ, চালকদের দেড় লাখ টাকা জরিমানা হবিগঞ্জে জামায়াত প্রার্থীর গাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলা ঢাকার ফ্লাইট নামছে চট্টগ্রাম-কলকাতায় মক্কায় এক সপ্তাহে ১৩.৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দুটি পবিত্র মসজিদ পরিদর্শন করেছেন শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ শুরু, পুলিশের বাধা মিরপুরে ভয়াবহ আগুনে ৯ জনের মৃত্যু শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় পাচারকালে ৩৮০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ রূপগঞ্জে ১৩ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেফতার বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী ও লেখক শহিদুল আলম কে আটোক ইসরায়েলি বাহিনীর
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-২৭
  • ১৩ বার পঠিত
ফেনী প্রতিনিধি: ২৭ অক্টোবর, ২৫ ইং

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ২নং বগাদানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন মোহাম্মদ আলমগীরের পুনর্বহালের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।

সোমবার সকালে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে কুঠির উত্তর বাজার এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকাবাসী, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও জুলাই আহত যোদ্ধারা অংশ নেন।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন চরমজলিশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফেজ আবুল বশর, এবং সঞ্চালনা করেন জুলাই যোদ্ধা ও চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন রিয়াদ।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাবেক ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিন, কৃষক দল নেতা নুর আলম, জুলাই আহত যোদ্ধা আলভী'সহ অন্যান্যরা।

বক্তারা অভিযোগ করেন, “একজন ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ও ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা কীভাবে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক পদে বহাল থাকতে পারেন — এটি শিক্ষাঙ্গনের জন্য লজ্জাজনক ও অগ্রহণযোগ্য।”

তারা অবিলম্বে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে পরিচিত ওই প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে অপসারণ ও স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানান।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক হোসেন মো. আলমগীরের বিরুদ্ধে ফেনী সদর মডেল থানায় জি.আর (৩৮২/১৪) ও জি.আর (৪০৬/১৪) মামলাসহ আরও দুটি মামলা (জি.আর ৩৭২/২০৪ ও জি.আর ৪৬৪/২৪) চলমান রয়েছে।
তিনি ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হয়ে কারাভোগের পর ২০২৫ সালের ৫ জুন জামিনে মুক্তি পান।

এর আগে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ২৩ জুন ২০২৫ তারিখের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হোসেন মো. আলমগীর বলেন, “আমি বর্তমানে সব মামলায় জামিনে আছি। জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশ অনুযায়ী আমার পদে বহাল থাকতে কোনো বাধা নেই।”

তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি নাজমুল করিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, একজন বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাকে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্তে বিদ্যালয়ের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat