×
সদ্য প্রাপ্ত:
মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পরিশোধের দাবি সিলেটে দুই ট্রাক সাদাপাথর জব্দ, চালকদের দেড় লাখ টাকা জরিমানা হবিগঞ্জে জামায়াত প্রার্থীর গাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলা ঢাকার ফ্লাইট নামছে চট্টগ্রাম-কলকাতায় মক্কায় এক সপ্তাহে ১৩.৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দুটি পবিত্র মসজিদ পরিদর্শন করেছেন শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ শুরু, পুলিশের বাধা মিরপুরে ভয়াবহ আগুনে ৯ জনের মৃত্যু শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় পাচারকালে ৩৮০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ রূপগঞ্জে ১৩ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেফতার বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী ও লেখক শহিদুল আলম কে আটোক ইসরায়েলি বাহিনীর
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-২৭
  • ৫১ বার পঠিত
বিশেষ প্রতিবেদন,মোঃ অলি উদ্দিন মিলন:

​দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সভা-সমাবেশ ও আন্দোলনের নামে প্রতিনিয়ত যে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ধ্বংসলীলা চলে, তার গভীরতা নিয়ে জনমনে বাড়ছে তীব্র ক্ষোভ ও প্রশ্ন। সাধারণ জনগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের টাকায় গড়া সম্পত্তি যখন রাজনৈতিক প্রতিবাদের বলি হয়, তখন এই কর্মকাণ্ডের নৈতিক ভিত্তি এবং গণতান্ত্রিক বৈধতা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা শুরু হয়।
​সাম্প্রতিক বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যানবাহন পোড়ানো, রাস্তা অবরোধের নামে ক্ষয়ক্ষতি এবং সরকারি অবকাঠামো ভাঙচুরের ঘটনায় বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে—কার টাকায় তৈরি এই সম্পদ, আর কেনই বা এই ধ্বংসের দায়ভার রাজনীতিবিদরা নেন না?
​জনগণের অর্থ, নেতাদের দায়মুক্তি
​সাধারণ মানুষের মৌলিক জিজ্ঞাসাটি অত্যন্ত সরল ও যুক্তিযুক্ত: এই রাষ্ট্রীয় সম্পদ কোনো রাজনৈতিক নেতার ব্যক্তিগত সম্পত্তি বা পৈতৃক অর্থ দিয়ে নির্মিত হয়নি। এটি গঠিত হয়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রদেয় শুল্ক, ভ্যাট এবং ট্যাক্সের টাকায়। একটি নতুন বাস, একটি রেললাইন বা সরকারি অফিসের একটি জানালা ভাঙা মানে সরাসরি জনগণের পকেট থেকে অর্থ লোপাট করা।
​বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিবিদরা যখন আন্দোলনের নামে সহিংসতা উসকে দেন, তখন তারা দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডকেই আঘাত করেন। ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করতে ফের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকেই অর্থ ব্যয় হয়, যার অর্থ—পুনরায় জনগণের ওপরই সেই বোঝা চাপানো। এক অর্থে, এটি জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করে আবার সেই জনগণের কাছ থেকেই তা মেরামতের খরচ আদায় করার নামান্তর।
​নীরব দর্শক আইন ও দায়বদ্ধতা
​রাজনৈতিক আন্দোলনের অধিকার গণতন্ত্রের ভিত্তি হলেও, সম্পদের ক্ষতি করার অধিকার কারো নেই। অথচ, প্রায়শই দেখা যায়, যারা এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন, তারা কার্যত শাস্তির ঊর্ধ্বে থেকে যান। এর ফলে, এক প্রকার দায়মুক্তির সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে, যেখানে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদকে জিম্মি করা হচ্ছে।
​শিক্ষাবিদ ও সমাজতত্ত্ববিদরা মনে করেন, এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি একটি জাতির নৈতিক মানদণ্ডকে দুর্বল করে দেয়। প্রতিবাদ হতে পারে গঠনমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং সৃজনশীল। কিন্তু যখন তা সহিংস রূপ নেয় এবং সাধারণ নাগরিকের জীবনযাত্রা ও সম্পত্তির নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, তখন তা আর প্রতিবাদ থাকে না—হয়ে দাঁড়ায় জনস্বার্থের পরিপন্থী কার্যকলাপ।
​প্রত্যাশা শান্তিপূর্ণ ও দায়িত্বশীল রাজনীতির
​জনগণ এখন রাজনীতিবিদদের কাছে সুস্পষ্ট জবাবদিহিতা এবং দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের দাবি—রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে সামনে রেখে যেন সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে হলে, আন্দোলনের নামে রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংসের এই সংস্কৃতি থেকে অবিলম্বে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।
​সাধারণ করদাতারা প্রশ্ন তুলছেন, আন্দোলনের নামে এই রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের দায় কি শুধুমাত্র কর্মীদের, নাকি এর নেপথ্যে থাকা শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরও এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে? ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি উন্নত দেশ উপহার দিতে হলে, রাজনৈতিক নেতাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের ও জনগণের সম্পদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat