স্টাফ রিপোর্টারঃ
জনি হোসেন, (নীলফামারী) নীলফামারীর সৈয়দপুরে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মরিয়ম নেছা ও কাশীরাম বেলপুকুর শিশুমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানাজ আক্তারের অনিয়ম–দুর্নীতির প্রতিবাদে ও তাঁদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা এ মানববন্ধন করেন। এতে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের জমিদাতা রেজাউল করিম পাটোয়ারী, ইউপি সদস্য নুরুন্নবী সরকার, অভিভাবক সাদ্দাম ইসলাম, ওবায়দুল হক পাটোয়ারী ও শারমিন আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের স্লিপের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের পানি উত্তোলনের মোটর ও ফ্যান সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে মানববন্ধনের খবর জানার পর সেগুলো পুনরায় বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ ছাড়া শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎসহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও তোলেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানাজ আক্তার বলেন, কোনো টাকাই আত্মসাত করা হয় নি। সব টাকার কাজ করা হয়েছে। যার বিল-ভাউচার জমা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মরিয়ম নেছা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এর আগে বলা হয়েছিল বিদ্যালয়ের ফ্যান ও মোটর বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু এখন গিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, সেগুলো স্কুলেই রয়েছে। বিদ্যালয়টি এর আগে তিনবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। রমজান মাসে এক মাস বন্ধ থাকায় চুরি ঠেকাতে ফ্যান ও মোটর সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”
এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল আলম মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সঙ্গে ছবি আছে