মামুন মিঞা,ফরিদপুর:
ফরিদপুরের সদর উপজেলার খলিলমন্ডলের হাটে চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে
সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ মিষ্টির দোকান। এসব দোকানে কোনো স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই তৈরি হচ্ছে মিষ্টি, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খলিল মন্ডল হাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একাধিক ব্যক্তি সরকারি খাস জমি দখল করে রেখেছে।এবং ইউনিয়ন তথ্য অফিসের পাশেই গড়ে উঠেছে অস্বাস্থ্যকর মিষ্টি তৈরির কারখানা।
দোকানগুলোতে নেই কোনো সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা, খাবার তৈরির সময় ব্যবহার করা হচ্ছে নোংরা পানি ও নিম্নমানের উপকরণ। শ্রমিকদের অনেকেই কাজ করছেন খালি হাতে, স্বাস্থ্যবিধির ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এসব দোকানে প্রতিদিন শত শত মানুষ মিষ্টি কিনতে আসেন। অথচ প্রশাসনের কোনো তদারকি নেই। এতে করে জনস্বাস্থ্য নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। অনেকেই এরইমধ্যে খাদ্যে বিষক্রিয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বহুবার, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, "বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
জনসাধারণের দাবি, দ্রুত এসব অবৈধ দোকান সরিয়ে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হোক।
এ বিষয় অবৈধ স্হাপনার মালিক জিয়া মন্ডল কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে,দুঃখের বিষয় ফোনটি রিসিভ করেন তার দোকানের কর্মচারী,তিনি বলেন জিয়া ভাই দোকানে নেই। পরে ফোন দিতে বলবো।
মিষ্টি দোকানে গিয়ে দেখা হয় জিয়া মন্ডল এর ভাই এর সাথে,তিনি বলেন,"আমরা দোকান ভাড়া নিয়েছি। মিষ্টি সম্পর্কে কোনো কিছু বলতে নারাজ।
এ বিষয় চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুহিন মন্ডল বলেনঃসরকারী জায়গা দখল করে জিয়া ঘর তুলেছে,একাধিক বার প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। একবার ভেঙে ও দিয়েছে তারপর ও ঘর তুলেছে। আর মিষ্টি তৈরির কারখানা সম্পর্কে বলেন,"প্রশাসনকে অবগত করা হবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।